ভাষা দিবসের আবেগে সিক্ত হলো কলকাতা

SHARE

ভাবগম্ভীর আবহে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কোন অনুরিত হচ্ছিল শুক্রবার কলকাতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে …।

সারিবদ্ধভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুরেলা গলায় গাইছিলেন উপ-কমিশনের কর্মকর্তারা এবং সবার মাঝে ছিলেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

আরো উপস্থিত ছিলেন কলকাতার নামজাদা শিল্পী সাহিত্যিক সাংবাদিকরা এবং উপ-হাইকমিশনের কর্মী এবং তাদের পরিবারবর্গ। ছিলেন কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেটের- যেমন নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

উক্ত অনুষ্ঠানে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা চমৎকার সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

কিভাবে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় শুক্রবার পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০’।

একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে কলকাতায় বাঙালির সংস্কৃতির কবি, সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রভাতফেরি হয়ে উঠেছিল উৎসবের মহাক্ষেত্র। হারমোনিয়াম, ঢোল, বাঁশির সঙ্গে শত শত বাঙালির মুখে ছিল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কী ভুলিতে পারি’। প্রভাতফেরী পার্ক সার্কাসের ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র’ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে বাংলাদেশ মিশনের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদের ওপর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস‘ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে দিবসটির ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- বিধায়ক পরেশ পাল, বিধায়ক অসিত মিত্র, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, বিশিষ্ট কবি বরুন চক্রবর্তী, রবীন্দ্র গবেষক কবি পার্থ সারথী গায়েন এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সম্পাদক ইলোরা দে।