প্রশান্ত কিশোরের একটি পরামর্শেই বাজিমাত করলেন কেজরিওয়াল!

SHARE

ফের দিল্লির মসনদে আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মাত্র একটি পরামর্শ। আর তাতেই বাজিমাত। ভোট ময়দানে বিজেপি-কংগ্রেসকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে তৃতীয়বার স্বমহিমায় দিল্লির মসনদে আসীন হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর সেই সঙ্গে নিজের ঈর্ষণীয় রেকর্ড বজায় রাখলেন ভোটকৌশলী পিকে।

ফল নিশ্চিত হওয়ার পরই টুইটারে দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রশান্ত কিশোর। তিনি লিখেন, ভারতের আত্মাকে রক্ষা করার জন্য দিল্লিকে অনেক ধন্যবাদ। রাজধানীতে জয়ের মুখ কেজরি হলেও তাঁর নেপথ্যের মানুষটির জাদুকাঠিতেই মিলেছে এত বড় সাফল্য। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য কেজরিকে ঠিক কোন মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন পিকে? কোন স্ট্র্যাটেজিতে হল বাজিমাত? সূত্রের খবর, একটি পরামর্শেই ভোটের রাজনীতিতে কেজরিকে সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। দিল্লি নির্বাচনের মাস দু’য়েক আগে কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে চুক্তি হয় তাঁর। পরবর্তী দু’মাস দিল্লিকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান করেছেন। মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করেছেন। আর তারপরই কেজরির হাতে তুলে দিয়েছেন সঞ্জীবনী বুটি।

আম আদমি সুপ্রিমোকে নাকি প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, দ্বন্দ্ববাদী আচরণ ছেড়ে কেজরিকে উন্নয়নের মুখ হয়ে উঠতে হবে। অর্থাৎ বিরোধীদের ভুলত্রুটি না খুঁজে-বিজেপির সমালোচনা না করে রাজ্যের উন্নয়নকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেদিকেই মন দিতে হবে। সেই পরামর্শ মেনেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি বসানো থেকে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবার মতো স্কিম চালু করেন কেজরি।

প্রশান্ত কিশোর জানতেন, লড়াইটা যখন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের মতো হেভিওয়েট মগজাস্ত্রের বিরুদ্ধে, তখন খেলা সুপার ওভারে গড়াতেই পারে। তাই বিজেপি যখন ভোট পেতে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করল, তখন এএপি- র জয় নিশ্চিত করতে কেজরির রোজনামচায় হনুমান চালিশা জুড়ে দিলেন প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি নেতা কেজরিকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিতেই প্রতিবাদ মিছিল করাও স্ট্র্যাটেজিরই অংশ।

শুধু তাই নয়, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য যেদিন কেন্দ্র ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করে, সেদিনও পিকের ঝুলিতে গচ্ছিত ছিল দাওয়াই। পরিকল্পনা করেই সমস্ত সংবাদপত্রের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল আপ সুপ্রিমোর ইন্টারভিউ। যাতে শিরোনামে তিনিও সমান গুরুত্ব পান। প্রশান্ত কিশোরের এই সব ছোটখাটো গুগলিতেই দিল্লিতে বাজিমাত হয়েছে। বাংলা আর তামিলনাড়ুতেও কি নিজের রেকর্ড বজায় রাখতে পারবেন পিকে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।