৪৬ দেশে পঙ্গপালের হানা, চরম খাদ্য সঙ্কটের শঙ্কা

SHARE

আফ্রিকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে পঙ্গপালের বংশ বিস্তার দ্রুত বেড়েছে। যা গত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। পঙ্গপালের বিস্তারের জন্য পরিবেশ বিপর্যয়কে দায়ী করছে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা-এফএও। বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জলবায়ু বিপজ্জনকভাবে পরিবর্তনের ফলেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছে।

বিপর্যয় মোকাবিলায় ৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে এফএও। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে। পঙ্গপালের দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পৃথিবীর ১০ ভাগ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একেকটি পতঙ্গ প্রতিদিন তাদের নিজেদের ওজনের সমপরিমাণ খাবার খেতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশেষজ্ঞের মতে, ম্যানহাটনের আকৃতির পঙ্গপালের একটি ঝড় গোটা নিউইয়র্কের জনসংখ্যার প্রয়োজনীয় খাবার সাবাড় করতে পারে।

মরু পতঙ্গরা আবার ঝাঁক ধরে উড়ে। কেনিয়ায় এমন একটি পঙ্গপাল দৈর্ঘ্যে ৩৭ মাইল আর প্রস্থে ২৫ মাইলের আকার নিয়েছে। যেখানে যাচ্ছে সেখানে রীতিমত সূর্যের আলো তারা ঢেকে ফেলতে পারে।

পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের সহজ কোনো উপায় নেই। উড়োজাহাজে, গাড়িতে করে কিংবা বহনযোগ্য যন্ত্রের সাহায্যে কীটনাশক ছিটিয়ে সাধারণত এদের দমন করা হয়। সমস্যা হল এতে উপকারী কীটপতঙ্গও মারা পড়ে।