করোনাভাইরাস : চীনের অবস্থা কেমন?

SHARE

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাতশ ছড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে ৩০ হাজার। জাপানের উপকূলে কোয়ারিন্টিনে রাখা একটি প্রমোদতরীর ৪১ জন আরোহীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে প্রমোদতরীটিতে মোট আক্রান্ত আরোহীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ জনে।

এদিকে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে যে চিকিৎসক হুঁশিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন তার মৃত্যুতে চীন জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উবেই প্রদেশের উহানে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর মারা যান লি ওয়েনলিয়াং।

গত ডিসেম্বরে তিনি সহচিকিৎসকদের সতর্ক করে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাস জাতীয় একটি ভাইরাস। কিন্তু তাকে পুলিশ এ ধরনের ‘ভুল মন্তব্য না করার’ নির্দেশ দিয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে ‘গুজব ছড়ানোর’ তদন্তও হয়েছিল। চীনের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা জানিয়েছে, তারা লি সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি বছরগুলোতে এমন কোনো ঘটনার উল্লেখ নেই যা চীনের সরকারের প্রতি অনলাইনে এতো বেশি বিষাদ, ক্ষোভ এবং অবিশ্বাস উস্কে দিয়েছে। লি’র মৃত্যুর খবর চীনের সামাজিক মাধ্যমে শীর্ষ ট্রেন্ডিং টপিকে পরিণত হয়েছে, যা প্রায় এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন দর্শক দেখেছে।

চীনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের তীব্রতাকে কমিয়ে দেখানো এবং প্রাথমিক অবস্থায় এটিকে গোপন করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। সরকার স্বীকার করেছে যে ভাইরাসের প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতি ছিল।

এদিকে, ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটি বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। জন্মদিনের মতো পার্টিগুলোতে দল বেঁধে খেতে যাওয়ার ওপর রাজধানী বেইজিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আংঝোউ এবং নানচ্যাংয়ের মতো শহরগুলোতে, এক দিনে একটি পরিবারের কতো জন সদস্য বাড়ির বাইরে যেতে পারবে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হুবেই প্রদেশে বাসিন্দাদের বাইরে যাওয়া ঠেকাতে বহুতল ভবনগুলোতে লিফট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।