ভারতের মতো নেপাল-ভুটানও পণ্য পরিবহন সুবিধা পাবে

SHARE

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমূহের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতকে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা প্রদানে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। একই রকম সুবিধা প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও ভুটানকে প্রদানেও বাংলাদেশ সম্মত আছে।

আজ রবিবার রাতে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, নেপাল ও ভুটানকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দিতেও বাংলাদেশ সম্মতি প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত করার ব্যাপারে কার্যক্রম চলছে। এটি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে।

মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও ক‚টনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ সকল উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ভারত-নেপাল-ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশ সমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এ ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

সরকারি দলের আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদার করার করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি আরো সমুন্নত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসের সংখ্যা ৪৬ থেকে ৫৯ এ উন্নীত করছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক নদী সমূহের অভিন্ন পানি বণ্টন চুক্তি বিশেষকরে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন ও সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি দূর, সড়ক ও নৌপথ যোগাযোগ আরো সহজতর করাসহ অন্যান্য সকল ইস্যুতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে অধিকার প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান হাইওয়েতে সংযুক্তির মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং নেপাল ও ভূটানের সাথে অভিন্ন পানি ও জ্বালানী নিরাপত্তা জোরদকার করা হচ্ছে।