আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় বিতর্কে মায়ানমার সরকার। দ্য হেগ থেকে এই রায়দানের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সু চির দেশ। তবে প্রত্যশিতভাবেই নীরব দেশটির নেত্রী সু চি। নোবেল জয়ী নেত্রীর নীরবতা নিয়েও সরব হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল।
দেশটির সরকার বিবৃতিতে বলেছে, তাদের দেশে কোনো গণহত্যা হয়নি। যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়, নিজেদের সরকার গঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব এনকোয়ারির রিপোর্ট। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে কোনো ধরনের গণহত্যার আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া দায়ের করেছিল মামলা। সেই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত(আইসিজে) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বলে, রোহিঙ্গাদের নিধন রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে মায়ানমারকেই।
মায়ানমারের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাখাইন প্রদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি। সেখানে যুদ্ধ অপরাধ হয়েছে। এই মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।
২০১৭ সালের অগস্ট মাসে রাখাইন প্রদেশ রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা হয়। অভিযোগ ওঠেছিল, সেখানে গণহত্যা ও গণধর্ষণ হয়। পরে রাখাইন থেকে পালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, টেকনাফে আশ্রয় নেন।