কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘকে মধ্যস্থতার আহ্বান ইমরান খানের

SHARE

বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) যোগ দিতে গিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর বিতর্কের প্রধান কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর তাই আন্তর্জাতিক সংস্থগুলোর এটি বন্ধ করা এবং বিশেষভাবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে ওঠে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে সব ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক বাতিল করে। এছাড়া তারা এ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে ভারত প্রথম থেকেই এটিকে ‘নিজেদের অভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলে দাবি করে আসছে।

এদিকে, কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চীনে নিপীড়নের শিকার উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের পাশে প্রকাশ্যে দাঁড়াতে রাজি হননি। ইমরান খান বলেন, বহু বিপদে পাশে দাঁড়ানো ভালো বন্ধু চীনের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা সম্ভব। প্রকাশ্যে নয়। জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেন।

চীনে উইঘুর মুসলিমরা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। তাই চীনের সঙ্গে উইঘুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যেতে চায় ইসলামাবাদ।

তিনি আরো বলেন ‘মূলত দু’টি কারণে উইঘুর ইস্যু নিয়ে চুপ রয়েছে পাকিস্তান। প্রথমত, কাশ্মীরে যা ঘটছে আর তার মাত্রা যতটা, সেই নিরিখে চীনে উইঘুরদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগের কোনো তুলনাই হয় না। দ্বিতীয়ত, চীন আমাদের খুব ভালো বন্ধু। নানা সময়ে আমাদের অর্থনীতির বিপদে-আপদে, আমাদের সঙ্কট তারা আমাদের পাশে এসে দাঁডিয়েছে। আর তাই উইঘুর বিষয়টি আমরা ঘরোয়া আলোচনায় তুলতে পারি। কখনোই তা নিয়ে প্রকাশ্যে বলাটা আমাদের উচিত হবে না।