আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন?

SHARE

৬৭ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটির ক্ষমতাধর নেতা। রাশিয়ায় অনেক তরুণ ভোটার আছেন, যারা তাদের জীবনে ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়া আর কাউকে দেশটির নেতা হিসেবে দেখেননি। বর্তমানে এমন সব ঘটনা রাশিয়ায় ঘটাচ্ছেন, যাতে মনে হচ্ছে আজীবন ক্ষমতায় থাকার ছক কাটছেন তিনি!

রাশিয়ার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় তার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য পরবর্তী পরিকল্পনার ছক কাটছেন। বিশ্বের অনেক দেশের নেতাই নির্লজ্জভাবে তাদের ক্ষমতার মেয়াদ নিজেরাই বাড়িয়ে নিয়েছেন। এজন্যে হয় তারা সংবিধানের এক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাতিল করে দিয়েছেন অথবা কোনো সাংবিধানিক ফাঁক-ফোকরের সুযোগ নিয়েছেন। পুতিন এরই মধ্যে এই কাজ একবার করেছেন। এবার মনে হচ্ছে পুতিন নতুন কোনো কৌশল আঁটছেন। রাশিয়ায় ‘স্টেট কাউন্সিল’ নামে একটি পরিষদ আছে, যার প্রধান তিনি নিজে। এখন পর্যন্ত এর ক্ষমতা এবং উদ্দেশ্য খুবই সীমিত। কিন্তু এখন এই ‘স্টেট কাউন্সিল’কে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্র ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার এরকম কৌশলের নজির আছে। কাজাখাস্তানের নুরসুলতান নাযারবায়েভ প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অবসর নিয়ে আজীবনের জন্য ‘লিডার অব দ্য নেশন’ বা ‘জাতির নেতা’র পদে অধিষ্ঠিত হন।

ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের পদে থাকতে পারবেন। কিন্তু তার পর কে আসলে দায়িত্ব নেবেন, সেটা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা আছে। পুতিন তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাকে বেছে নিয়েছেন, সেই মিখাইল মিশুস্টিনকে অনেকে হিসেবের বাইরে রাখছেন। রাশিয়ায় একটা কথা চালু আছে। সেখানে নাকি রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষপদটি টাকমাথা আর কেশাবৃত মানুষের মধ্যে আবর্তিত হয়, অর্থাৎ একবার কোনো টাকমাথা ক্ষমতায় তো পরের বার কোনো কেশাবৃত নেতার পালা।

শুনতে যতই খারাপ লাগুক, রাশিয়ার বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের মাথায় কিন্তু টাক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিনও টাকমাথার, কাজেই তিনি পুতিনের উত্তরসূরী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।