কারাগারে থাকা আসামিদের ২১ জানুয়ারি আদালতে হাজিরের নির্দেশ

SHARE

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আগামী ২১ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই নির্দেশ দেন।

আজ বুধবারই আসামিদের হাজিরা সংক্রান্ত পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওইদিন আসামিরা হাজির হওয়ার পর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য হবে।

এই মামলার পলাতক তিন আসামি মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান (বাড়ি রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার কেসি রায় রোড), এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (বাড়ি সৈয়দপুর জেলার নীলফামারি থানার নেয়ামতপুর মুন্সিপাড়া গ্রাম) ও মুজতবা রাফিদের (বাড়ি-দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালী থানার উত্তর বালুবাড়ি) অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এর আগের দিন ১২ জানুয়ারি মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমত্য ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে ২১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই কারাগারে আছেন। তারা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

গত ১৮ নভেম্বর এই মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন একই আদালত। তার আগে গত ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত সব আসামি বুয়েটের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীরি সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে জানা গেছে, রাত দশটা থেকে একটানা রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কিলঘুষি, লাথিও মারা হয়। এইভাবে আবরারকে হত্যা করা হয়।

এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তারা হলেন ইফতি মোশাররফ হোসেন সকাল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মো. মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস শাদাত ও তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর।