নগর সরকারের প্রস্তাব নাকচ করলেন এলজিআরডি মন্ত্রী

SHARE

সিটি গভমেন্ট (নগর সরকার) গঠণের প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে তা যথেষ্ট, তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধা নেই।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রেক্ষাপটে শহর, নগর, প্রামগুলো কিভাবে উন্নয়ন করার দরকার, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশিষ্টজনরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন, সবগুলো বিবেচনা করে আমাদের সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন উপজেলাসহ সবগুলোকে বিভিন্নভাবে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনকে সক্ষমতা অনুযায়ী যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া আছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এসে দেখেছি সিটি কর্পোরেশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া আছে। এই ক্ষমতাগুলো যদি ওনারা সত্যিকার অর্থে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতির জনক উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিচালনা করছেন। যখন যেখানে নীতিগত, আইনগত, সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেবে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিএনপি দলীয় আরেক সদস্য হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ এদেশে সব সময় সামনে বিপর্যয় দেখেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা জাতি সবক্ষেত্রেই সফলতা দেখছে। আগামীতে যেকোনো বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য অনেক আগে থেকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ওয়েস্ট ডিসপোজাল নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে সরকারের সুনির্দ্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা আছে। কাজেই বর্জ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বিরোধী দলের সদস্য বেগম সালমা ইসলামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশে নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে ঢাকা ওয়াসা ইতোমধ্যে একটি সুয়্যারেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বর্তমানে ‘দাশেরকান্দি সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নামে একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণাধীন রয়েছে। যা সমাপ্ত হলে সরাসরি পয়ঃবর্জ্য নদীতে গিয়ে যে দূষণ হয় তা অনেকাংশে বন্ধ হবে।