দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত পাট ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পাটের মূল্য বাবদ বিজেএমসির কাছে গত চার বছরে মোট পাওনার পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে বিজেএমসি কর্তৃক পাটের বকেয়া পাওনা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এতথ্য জানান।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পাট ক্রয়ের মূল্য বাবদ অর্থ বিজেএমসি পাট পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে ও বিভিন্ন সময় সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ হতে পরিশোধ করা হয়। বিগত কয়েক বছর পাটপণ্যের চাহিদা কম থাকায় বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোতে উৎপাদিত প্রায় ৬৭৫ কোটি টাকার পণ্য অবিক্রিত রয়েছে। মিলগুলো আর্থিক সঙ্কটে থাকায় পাটক্রয় বাবদ অপরিশোধিত দেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরের শুরুতে সময়মত পাট ক্রয়ের লক্ষ্যে আবর্তক তহবিল হিসাবে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে বিজেএমসি কর্তৃক পাটের বকেয়া পাওনা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের বস্ত্রশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে তিন এলাকায় (চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল মিল, গোদাইল ও নারায়নগঞ্জ) টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিটিএমসির নিজস্ব ২২টি প্লটের মধ্যে ১০টি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এসব প্লটের মধ্যে বিটিএমসির হাটখোলাস্থ ১ দশমিক ১৭৭ একর ও ডেমরস্থ ১ দশমিক ৫০৪ একর জমি রয়েছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে ধান, চাল, গম, ভূট্টা সার, চিনি মরিচ হলুদ পেঁয়াজ আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা তুস-খুদ কুড়া পোল্ট্রিফিড পরির্বতে পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যাবহার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এর ফলে অভ্যন্তরীন বাজারে পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। পাটপণ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে পাটপণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।