‘প্রচারণায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে’

SHARE

ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার‌ম্যান এইচটি ইমাম।

আজ বুধবার দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ-বিধি অনুযায়ী সরকারিসুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে। তাদের তো সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানো।

তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমিই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতিতে আমাদের চাইতে বিএনপির অনেক উপরে। তাদের প্রচার কাজ চালাতে বাধা নেই।

এইচটি ইমাম বলেন, আচরণ-বিধিতে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রী, এমপিদের বাধা রয়েছে। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি ভোটের কার্যক্রমে এমপিদের সম্পৃক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তো দলীয় কার্যক্রম। নির্বাচনী কার্যক্রম নয়। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারও এখন শুরু হয়নি। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ডিএনসিসি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড সরকার দলীয় এমপিরা আরও করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো বলতে পারবো না।

তিনি আরো জানান, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএমের ট্রেনিং সরঞ্জাম ও প্রচার সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে কতজন পোলিং এজেন্ট থাকবেন, কতজন নারী থাকবেন, তাদের ট্রেনিংয়ের কি ব্যবস্থা করা হয়েছে – এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছি। ইসি জানিয়েছে তারা ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নেমেছে। তারা জানিয়েছেন – ইভিএম ব্যবহারের সময় যাতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না হয় এজন্য সেনাবাহিনী থেকে টেকনিশিয়ান নিয়েছেন।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপির কথা বিএনপি অনেক আগে থেকেই বলে আসছে। মেশিন তো কাউকে চেনে না। এত ভাবে পরীক্ষা করার পরও কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। আমরা দেখব নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনা দেখিনি। এমন অভিযোগ যারা করছেন, তারা সবসময়ই করেন। সবসময়ই এমন বলেন। কাউকে ধরপাকড় ও এলাকা ছাড়ার মতো পরিস্থিতি ঘটেনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ দেওয়া হলে তখন দেখবো, দলীয় কেউ নিয়োগ পেয়েছে কিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটগ্রহণ হোক। এজন্য সরকার কী সহায়তা করতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম বলে জানা তিনি।