সোলাইমানিকে হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন

SHARE

ইরানের ইসলামি বিপ্লবি গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদ্‌স ব্রিগেডের প্রধান কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ।

মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই হামলার ব্যাপারে যেমন মার্কিন কংগ্রেস থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন নেননি, তেমনি ইরাক সরকারের কাছ থেকেও অনুমতি নেয়ার তোয়াক্কা করেন নি। এটি সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন।

তারা বলছেন, ইরাক সরকারের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়ালে ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ওনা হাতাওয়ে বলেন, এ পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে তাতে একথা প্রমাণ হয় না যে, আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সোলাইমানিকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন- দু দিক থেকেই এটা অবৈধ।

এদিকে, জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেল ক্যালামার্ড সোলায়মানির হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের মোবিলাইজেন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাদহি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করা বেআইনী এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লংঘন। এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে মূলত শত্রুতা থেকে এবং ড্রোন অথবা অন্য যেকোন উপায় ব্যবহার করে এই হামলা হোক না কেন তা কখনো বৈধতা পেতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের রাজনীতিক এবং আগামী নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও সোলাইমানিকে হত্যার জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন বলেছেন, এই হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কংগ্রেসের অনুমোদন নেননি। ফলে তার কাছ থেকে এ ধরনের হামলার ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত।

সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স।

তিনি বলেছেন, ২০০২ সালে যখন মার্কিন কংগ্রেস ইরাকে হামলার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল তখন আমি তার বিরোধিতা করেছিলাম। বিরোধিতা করেছিলাম এই আশঙ্কা থেকে যে, হামলার মাধ্যমে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য সময়ের ব্যবধানে আমার সেই আশঙ্কাই সত্য হয়েছে।