‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

SHARE

ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ গেইটের আশপাশ এলাকায় বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। বেলা এগারোটার দিকে গেইট খোলা হলে দলে দলে মুহুর্মুহু জয় বাংলা স্লোগানে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে হাজার নেতাকর্মী। বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।

আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেত আশপাশ এলাকা ঘুরে এইসব চিত্র চোখে পড়ে। ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কারো মাথায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা সম্বলিত টুপি, পরনে সাদা টি-শার্ট। অপেক্ষা অনুষ্ঠানস্থলের গেইট খোলার। বেলা এগারোটার দিকে গেইট খুলে আগত নেতাকর্মীরা একে একে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, দোয়েল চত্ত্বর এলাকা এসব চিত্র চোখে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকালে থেকে একে একে আসতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। ফলে সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

এই বিষয়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ হোসনে কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীদের জন্যই অত্যন্ত আনন্দের। এটা আমাদের জন্য উৎসব। উৎসবে অংশ নিতে এসেছি। একইসঙ্গে আপা (শেখ হাসিনা) আমাদের দিক-নির্দেশনা দেবেন। যা আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

নীলফামারি থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে অংশ নিতে এসেছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কখনো দেখিনি। আজকে দেখতে পারবো। এজন্য আলাদা ভালোলাগা কাজ করছে।

এদিকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হতে নিয়েছে ছাত্রলীগ। ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ছয়টায় সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাতটায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও সকাল আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ ছাড়াও ৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, ৭ জানুয়ারি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে সংগঠনটি।