দেশের প্রথম মেট্রোরেলের লাইনের (এমআরটি-৬) ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ও রেললাইন স্থাপন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে এ কাজের ফলক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। এ সময় সেতু সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এই মেট্রোরেল মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ফলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সহজেই লোকজন যাতায়াত করতে পারবে।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, এমআরটি লাইন- ৬ প্রকল্পের আওতায় সিপি-০৩ প্যাকেজটি হলো উত্তরা-উত্তর থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণের জন্য আর সিপি-০৪ হলো পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণের জন্য।
এমআরটি লাইন- ৬ হচ্ছে এলিভেটেড মেট্রোরেল সিস্টেম। রাজধানীর উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেল ১৬টি স্টেশনে থামবে। দ্রুতগতির এ মেট্রোরেল প্রতি চার মিনিট পরপর একটি স্টেশনে থামবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে। বাকি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হচ্ছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রকল্পটি ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে উত্তরা-উত্তর, উত্তরা-সেন্টার, উত্তরা-দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদালয় দোয়েলচত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেড়িয়াম, মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ১৬টি স্টেশন থাকবে।