মৌলিক দায়িত্ব হবে নাগরিক সুবিধা প্রদান: তাপস

SHARE

চলতি বছরে বাংলাদেশিদের ১৫ লাখ ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে এ তথ্য দেন ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। এ সময় তিনি তিনজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভারতীয় ভিসা তুলে দেন। তাদের পনেরো লাখতম, পনেরো লাখ একতম এবং পনেরো লাখ দুইতম ভিসা দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিল ফুলেল শুভেচ্ছা। ভিসাপ্রাপ্ত এই তিন মুক্তিযোদ্ধা হলেন- ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. নূর মোহম্মদ মল্লিক এবং মো. আতিয়ার রহমান।

এক বছরে এত সংখ্যক ভিসা এর আগে কখনই ইস্যু করা হয়নি। এই রেকর্ডের বছরকে স্মরণীয় রাখতেই আজ মঙ্গলবার সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় ভিসা সেন্টার।

হাইকমিশনার বলেন, বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশিদেরও ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কেউ উৎসবে কেনাকাটা করতে যান, আবার অনেকে ব্যবসার জন্যেও যান।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ১৫টি ভিসা সেন্টার খোলা হয়েছে। এর সুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। কয়েক বছর আগে ৭ থেকে ৮ লাখ ভিসা দেওয়া হতো। এখন তা ১৫ লাখে পৌঁছেছে। দুই দেশের মানুষের যোগাযোগ খুব দরকার। এ বিষয়টি এখন বেশ বেড়েছে। আমরা এখন খুবই খুশি যে ভিসা নিয়ে কোনো কিছু বলতেই হয় না। সবাই সহজেই ভিসা পাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ভারতে মোট বিদেশি পর্যটকের ৬৫ দশমিক ৬১ শতাংশই বাংলাদেশি। ভারতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পর্যটক আসেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে আসে ২০১৫ সালে। এর আগে সংখ্যার বিবেচনায় ২০১৪ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৩, ২০১২ সালে তৃতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশিরা। চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা, শিক্ষা নানা কারণেই বাংলাদেশিরা ভারতে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ বছরব্যাপী ভিসা প্রদান করা হচ্ছে।

এক হিসাবে বলা হয়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ২৮২ বিদেশি ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭৬ হাজার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৮, যুক্তরাজ্যের ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৮, কানাডার ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮, শ্রীলংকার ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৬, অস্ট্রেলিয়ার ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩, মালয়েশিয়ার ৪ লাখ ১১ হাজার ৫০, রাশিয়ার ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩, চীনের ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৯ এবং জার্মানির ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৪৩ নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেন।