ইরাকে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী । দেশটির জনপ্রিয় আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র অন্তত পাঁচটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন বাহিনী গতকাল রবিবার ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ব্রিগেডের ওপর ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে । এসব হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ৫১ জন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন এক বিবৃতিতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা হাশদ আশ-শাবির সঙ্গে সংশ্লিস্ট হিজবুল্লাহ’র কয়েকটি অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলার জের ধরে ইরাকের সবগুলো মার্কিন ঘাঁটিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
হাশদ আশ-শাবির শীর্ষস্থানীয় নেতা জাওয়াদ কাজেম রাবিয়াভি গতরাতে মার্কিন হামলা সম্পর্কে জানিয়েছেন, পশ্চিম ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আল-কায়েম শহরে হিজবুল্লাহর কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় হাশদ আশ-শাবির ২৫ সদস্য নিহত এবং অপর ৫১ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ ও প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি সে দেশের আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে ইরাকের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাত্য ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়ে একে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ বলে বর্ণনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের প্ররোচনায় গঠিত উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল হাশদ আশ-শাবি। ২০১৪ সালে দায়েশ ইরাকের বিস্তীর্ন এলাকা দখল করে নেয়ার পর প্রখ্যাত শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ আলী সিস্তানির এক ফতোয়া অনুযায়ী দায়েশ দমনের লক্ষ্যে হাশদ আশ-শাবি গঠিত হয়। ২০১৬ সালে ইরাকের পার্লামেন্টে আইন পাস করে এই বাহিনীকে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সূত্র : পার্স টুডে