ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ। এর মধ্যেই রণংদেহী মেজাজে দেখা গেল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। আজ শনিবার সমস্ত পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা তথা সমাজকর্মী এসআর দারাপুরির সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। যোগি আদিত্যনাথের শাসনে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের জোর জুলুম চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল লখনৌতে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সমাজকর্মী দারাপুরিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বিকেলে ধৃত সমাজকর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি ছিল প্রিয়াঙ্কার। পুলিশের বাধার জেরে গাড়ি ছেড়ে এক সময় বাইকে করে গন্তব্যেরে পথে রওনা দেন তিনি। তাতেও সমস্যা মেটেনি। একপর্যায়ে হাঁটা শুরু করেন।
যাত্রাপথে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে। সেই বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার পর পলিটেকনিক স্কোয়ারের কাছে আবারো তার গতি রোধ করে পুলিশ। আগে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু তিনি অত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন, তা বুঝিয়ে দেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। কী কারণে তাকে পথে আটকান হচ্ছে, উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। সে সময় পুলিশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রীতি মতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
পরে গাড়ি থেকে নেমে সোজা হাঁটা দেন প্রাক্তন আইপিএস কর্মকর্তা তথা সমাজকর্মী এসআর দারাপুরির বাড়ির দিকে। শীতের পড়ন্ত বিকেলে লউনৌতে প্রিয়াঙ্কার এই হন্টনে উপস্থিত সবাই চমকে যান। পলিটেকনিক স্কোয়ার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শেষ পর্যন্ত দারাপুরির বাড়িতে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা। কথা বলেন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
পুলিশের এ ধরনের আচরণে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, এটা কী ধরনের পুলিশি ব্যবস্থা! রাজ্যজুড়ে পুলিশি জোর জুলুম চালাচ্ছে যোগি সরকার। এমনকি সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশি সন্ত্রাসে চারদিকে চূড়ান্ত আতঙ্কের পরিবেশ।