প্রবাসে নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত

SHARE

প্রবাসে নারী শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধে করণীয় নির্ধারণে তিনটি সংসদীয় কমিটির যৌথ বৈঠক করতে চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সঙ্গে এই যৌথ বৈঠকে বিষয়ে কমিটির স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।

আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী র্মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দঃ প্রিন্স, নাহিম রাজ্জাক ও কাজী নাবিল আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যৌথ বৈঠক করে প্রবাসী নারী গৃহকর্মীদের নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। আগে বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, সৌদিতে কর্মরত আড়াই লাখ নারী শ্রমিকদের মধ্যে ২ থেকে ৩ শতাংশ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের কারণে বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বয়সসীমার (২৫-৪৫) শর্তের বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়। তাই সৌদিতে নারী শ্রমিক পাঠানো হবে কী না তার ওপর একটি গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, সৌদি আরবে কিছু নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলেও অধিকাংশ ভালো অবস্থানে আছেন। এমন কী তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।

কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, বিদেশে কমরত নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকও নির্যাতনের শিকার। তবে এই নির্যানের হার ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি নয়। অবশ্য সংখ্যায় যাই হোক না কেন কমিটির প্রবাসী শ্রমিকদের নির্যাতনের তথ্য পেলে সংশ্লিষ্ট গৃহকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন।

এদিকে কমিটির বৈঠকে নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা সংক্রান্ত মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার জন্য আসিয়ানভূক্ত দেশ কম্বোডিয়া সফরে সহযোগিতার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে ইন্দোনেশিয়া সফরের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।