কনকনে ঠাণ্ডা থাকবে আজও, কাল থেকে উন্নতি

SHARE

গত কয়েকদিনের মতো আজও সূর্যের দেখা মেলেনি। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ উঠে গেলেও দেশজুড়ে এখনো কনকনে ঠাণ্ডা। যদিও আজ কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে আগামীকাল সোমবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, উন্নতির দিকে যাবে শৈত্য পরিস্থিতি।

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। গত শুক্রবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও শনিবার তা কেটে যায়। তবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ উঠে গেলেও সারা দেশে কনকনে শীত রয়েছে আজও। বেশির ভাগ জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, দিনের তাপমাত্রা যদি বেশি থাকত, তাহলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ত। যেহেতু দিনের বেলায় সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না; ফলে রাতেও সমানভাবে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। তবে শনিবার তা কেটে গেছে। রবিবার পর্যন্ত কনকনে শীত থাকবে। অবস্থার উন্নতি হবে সোমবার থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এক দিনের ব্যবধানে রাজধানী বাদে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শীতের অনুভূতি কমেনি। আজ রবিবারও তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্র জানায়।

এদিকে শীতজনিত রোগে গতকাল এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শীতার্ত মানুষের জন্য এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, যে শীত পড়ছে, তাতে শীতকালীন সবজির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন গম ও পেঁয়াজের সময়। বীজতলায় বোরো। তাপমাত্রার যে অবস্থা তাতে গম ও পেঁয়াজের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে কনকনে শীত দীর্ঘ মেয়াদে থাকলে বীজতলায় থাকা বোরোর ক্ষতি হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন শাখার পরিচালক কৃষিবিদ চণ্ডী দাস কুণ্ডু গতকাল কালের কণ্ঠকে এসব কথা বলেন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অধিকাংশ এলাকায় গড়ে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল তাপমাত্রা।