অবৈধ প্রবাসী শ্রমিকদের আনতে বিমানের ১৬ বিশেষ ফ্লাইট

SHARE

ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে রিটার্নসহ ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে টিকেট পাওয়া গেলেও এখন তা ৫০ হাজার টাকায়ও মিলছে না। শুধু তা-ই নয়, ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো এয়ারলাইনসেরই টিকিট নেই। এ অবস্থা যখন জটিল তখন বিশেষ পদক্ষেপ নিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চলতি মাসে এই রুটে ১৬টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব এই বিমান সংস্থা।

সূত্র জানায়, ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফিরে আসার সুযোগ দিলেও টিকেট সঙ্কটের কারণে সেখানে অনেকে আটকে আছেন। সময়মত ফ্লাইট না পাওয়ায় তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে ফিরতে বিপাকে পড়ছেন। মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত এ সুযোগ এবছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। এই কর্মসূচির আওতায় নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার আওতায় সুবিধা নিয়েছেন। আরো তিন হাজার আবেদন পড়েছে। মোট আবেদন পড়েছে প্রায় ৩২ হাজার। তাদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা টু মালয়শিয়া রুটে তাদের নিয়মিত ফ্লাইটের অতিরিক্ত হিসেবে ১৬টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বোয়িং ৭৩৭ ও ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার দিয়ে এসব ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা হিসেবে দেশের মানুষের প্রতি বিমানের সবসময়ই একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের মানুষ ও প্রবাসী শ্রমজীবী ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে এই বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, আমাদের প্রবাসী ভাইদের সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেশের ও দেশের মানুষের স্বার্থ ও প্রয়োজনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর সংস্থাগুলো সবসময়ই প্রস্তুত।

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, আগে দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের জেল, জরিমানা ও বিভিন্ন ধরনের আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো। কিন্তু সাধারণ ক্ষমার আওতায় বাংলাদেশের অবৈধ কর্মীদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের ব্যাক ফর গুড কর্মসূচিতে এই কষ্টকর পরিস্থিতি পড়তে হচ্ছে না।