ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হলো নাইমুলের লাশ

SHARE

আদালতের নির্দেশে রাজধানী ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের কবর খুঁড়ে লাশটি তোলা হয়।

নোয়াখালীর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিছিলের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশটি তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম সেখানে ছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ময়নাতদন্তের কাগজপত্র প্রস্তুত করে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।

লাশ উদ্ধারকাজ তদারকি করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টিনা পাল। তাঁকে সহায়তা করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ। তবে লাশ উত্তোলনের সময় নিহত নাইমুলের বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা ঢাকার বাসায় রয়েছেন বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।

গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে আয়োজিত কিশোর আলো অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নাইমুল আবরার। নাইমুল ওই কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ইউনিভার্সাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে নাইমুলের লাশ দাফন করা হয়।

গত বুধবার নাইমুর আবরারের বাবা মজিবুর রহমান তাঁর ছেলের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে অভিযোগ করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হক নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নাইমুর আবরারের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশও দেন আদালত।