ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

SHARE

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল ও আবহাওয়া অধিদফতরের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের কারণে মোংলা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মালামাল ওঠানামা কার্যক্রম। জেটি জাহাজশূন্য করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং।

আজ শনিবার সকাল থেকেই মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজগুলো একে একে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বহির্নোঙরে (সাগরে) অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বড় জাহাজের ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে একটির ওপর কয়েকটি রাখা কনটেইনার নামিয়ে রাখা হচ্ছে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দুর্যোগে আশ্রয় নেওয়ার জন্য খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলায় ৫৫৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য ২৮৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্ত করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এখনো সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন। অতি ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য দুই হাজার প্যাকেট করে খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রয়েছে।