ছেলেকে ফাঁসাতে ‘মেয়ে সাপ্লাই’ দিতেন আপন জুয়েলার্সের মালিক!

SHARE

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছিল সারা দেশ। কথিত অভিজাত শ্রেণির অন্দরমহলে কী ভয়ানক অনাচার আর অপরাধমূলক কাজ চলে, তা আবারও সামনে এসেছিল ওই ঘটনায়। বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ এক ভিডিওতে তার বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ এনেছেন। বর্তমানে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে।

ধর্ষণ মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাফাত আহমেদ। ভিডিওতে দেখা যায়, সেই হাসপাতালেই বাবা দিলদার আহমেদের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করছেন তিনি। একইসঙ্গে দুজনের একে অপরকে লক্ষ্য করে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। প্রচণ্ড মাতাল অবস্থায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার টলছিলেন! তিনি তার ছেলে সাফাতকে উদ্দেশ্য করে বারাবার বলতে থাকেন, ‘দুই বছর জেল খাইটা আসছ, লজ্জা করে না! ধর্ষণ মামলায়…. জেল খাটা বাইর কইরা দিছে…। এই চোপ.. চোপ…! ভিডিও রাখ!

এসময় সাফাত তার বাবার দিকে আঙুল উঁচিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমারে মেয়ে সাপ্লাই কে দিছে? তুমি দিছ আমারে মেয়ে সাপ্লাই! পিয়াসাকে আমার কাছ থেকে সরাতে রাজধানীর বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে মেয়ে সাপ্লাই দিয়েছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। আমি কোনো ধর্ষণ করিনি। আমি ধর্ষণ মামলার আসামিও না। একমাত্র পিয়াসাকে ভালোবেসে বিয়ে করা আমার অপরাধ। এই লোকে আমারে ধর্ষণ মামলা খাওয়াইছে।’

সাফাত চিৎকার করে আরও বলেন, ‘এই লোকে মানি লন্ডারিং মামলার আসামী। এ খুব খারাপ লোক। আমার বউ থেকে আমারে সরাইছে। সরাইয়া, মেয়ে সাপ্লাই দিয়া ধর্ষণ মামলা খাওয়াইছে। এই সেই লোক, এই লোকের বিচার আমি চাই। এই লোক বিএনপি করে….। আমি এখন গণমাধ্যমের সামনে আসছি। এই লোক আমারে মামলা খাওয়াইছে। আমি পিয়াসাকে বিয়ে করছি। আমি ওকে ভালোবাসি। এইটা চক্রান্ত। এই লোক মেয়ে দিয়ে আমাকে বউ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।’

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার গর্ভের সন্তান নষ্ট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দিলদার আহমেদসহ দুজনের বিরুদ্ধে করা পিয়াসার মামলার নারাজির বিষয়ে শুনানি শেষে তা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী পিয়াসা বলেছিলেন, ‘আমার শ্বশুর দিলদার জঘন্য একজন মানুষ। তিনি আমাদের সংসার ভালোভাবে চলতে দিচ্ছেন না। সাফাতকে নারী দিয়ে তিনি ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তা ভিডিওর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’