কাশ্মীর থেকে ফিরলেন ১৩৩ বাঙালি

SHARE

গত মঙ্গলবার কুলগামে নির্বিচারে গুলি করে খুন করা হয় পাঁচ শ্রমিককে। জখম হয়েছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। তারপর থেকে আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছিলেন কাশ্মীরে পেটের টানে ছুটে যাওয়া বাঙালি শ্রমিকেরা। কাশ্মীরের আপেল খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন ১৩৩ জন বাঙালি শ্রমিক। দিব্যি চলছিল কাজ। কিন্তু জঙ্গি হামলায় পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুতেই ঘটল ছন্দপতন। তারপর থেকে আতঙ্ক যেন আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছিল তাঁদের। সোমবার বিকালে কাশ্মীর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শ্রমিকরা।

চোখ বন্ধ করলেই কানে বাজছিল গুলির শব্দ। মৃত্যুর আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছিল না তাঁদের। কাশ্মীর থেকে বহু কিলোমিটার দূরে থেকেও একই আশঙ্কা গ্রাস করেছিল শ্রমিক পরিবারগুলিকে। আপনজন আদৌ সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে তো, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল তাঁদের মনে।

সেই আশা-আশঙ্কার টানাপোড়েনের পর অবশেষে কাশ্মীর থেকে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরলেন ১৩৮ জন শ্রমিক। সোমবার বিকেল ৫টার কিছু পরেই জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে চড়ে কাশ্মীর থেকে কলকাতা স্টেশনে আসেন তাঁরা। ওই শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজন আসামের বাসিন্দা। বাকি সকলেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ওই ১৩৩ জনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ১১২জন, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির দু’জন করে মোট আটজন কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। ওই দলে রয়েছেন বীরভূমের আটজন এবং মালদহের একজন শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গে ফিরলেও এখনও চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট তাঁদের।

কলকাতা স্টেশনে আতঙ্কিত শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে শ্রমিকদের সুদূর কাশ্মীর থেকে এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই বাসে করেই বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে শ্রমিকদের।