খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে

SHARE

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যের সাথে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের মিল নেই।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শারিরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থা ভালো আছে এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন বাস্তবায়ন হওয়া সড়ক পরিবহন আইন -এ বিআরটিএ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে গলাবাজি করছে। বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরও জনগণ সাড়া না দেওয়ায় আন্দোলনে ব্যার্থ, নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নালিশ করছে মানুষের কাছে। নালিশ করা বিএনপি’র একটি রোগে পরিণত হয়েছে।

চলমান শুদ্ধি অভিজান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরইমধ্যে জেলা পর্যায়ে ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা যাতে কমিটিতে স্থান না পায় সেজন্য তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দূর্ঘটনাসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন পহেলা নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার জন্য সারা বাংলাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আগামী সাতদিন এই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। এ সময় কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে না করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়িত হলে ক্রমান্বয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

এ সময় মন্ত্রীর সাথে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-অর-রশিদ সহ বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।