নাইমুল আবরারের করুণ মৃত্যুতে ‘কিআ’র দুঃখ প্রকাশ

SHARE

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মর্মান্তিক মৃত্যুতে কিশোর আলো শোক প্রকাশ করেছে।

প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার এক শোক বার্তায় জানায়, শোকসন্তপ্ত পরিবার ও নাইমুলের সহপাঠীসহ সবার কাছে আন্তরিকভাবে সর্বোচ্চ দুঃখপ্রকাশ করছি। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। কিশোর আলো পরিবার গভীর বিষাদে আচ্ছন্ন।

শোক বার্তায় বলা হয়, আমরা মর্মাহত, শোকাভিভূত ও বাকরুদ্ধ। কিশোর আলো কাজ করে শিশুদের সুন্দর নিরাপদ শৈশবের জন্য, তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। অথচ কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেই একজন কিশোর এভাবে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হবে, এটা আমাদের জন্য চরম আঘাত, পরম বেদনার।

আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবার ও নাইমুলের সহপাঠীসহ সবার কাছে আন্তরিকভাবে সর্বোচ্চ দুঃখপ্রকাশ করছি। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। কিশোর আলো পরিবার গভীর বিষাদে আচ্ছন্ন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন কিছু মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, যা সঠিক নয়, যার কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। বলা হয়েছে, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর খবর গোপন করে অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখা হয়। তথ্যটি সঠিক নয়। এখন জানা যাচ্ছে, শেষ শিল্পী মঞ্চে ওঠার পর দুর্ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে অনুষ্ঠান-প্রাঙ্গণের জরুরি চিকিৎসা-শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি চিকিৎসা-শিবিরের জন্য তৈরি রাখা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিভার্সাল হাসপাতালের আইসিইউতে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে নাইমুল আবরারের মৃত্যুর খবর কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের গোচরে আসে। মৃত্যুর খবর গোপন রেখে অনুষ্ঠান চালানো হয়নি।

কেউ কেউ বলেছেন, ইউনিভার্সাল হাসপাতাল কিশোর আলোর অনুষ্ঠানটির স্পনসর ছিল বলে নাইমুল আবরারকে সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ তথ্যটিও সঠিক নয়। ইউনিভার্সাল হাসপাতাল কিশোর আলোর স্পনসর ছিল না, সহযোগী হিসেবে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন মাত্র। তাদের দুজন এফসিপিএস ডাক্তার জরুরি চিকিৎসা-শিবিরে নিয়োজিত ছিলেন। স্পনসরের স্বার্থে নাইমুল আবরারকে ইউনিভার্সাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি, সংকটের মুহূর্তে ডাক্তাররা তাৎক্ষণিকভাবে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আইসিইউ সুবিধা ছিল বলে আমাদের জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিভার্সাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও নাইমুল আবরারের জন্য ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ প্রস্তুত করে রেখেছিল। নাইমুলকে বাঁচিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা করেছেন।

এ দুর্ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিকে কিশোর আলো সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করবে। দুর্ঘটনায় কারও অবহেলার তথ্য পাওয়া গেলে সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

এ দুর্ঘটনায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিশোর আলো সম্পাদক দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপর নাইমুলের আব্বা ও আম্মার কাছে ছুটে গেছেন এবং শোকবিহ্বল সময়ে পরিবারের তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

কিশোর আলো পরিবারের শোকের সমব্যথী। নাইমুলের সহপাঠী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছেও কিশোর আলো আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।