‘পাপনের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না’

SHARE

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাপারটি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি দেখাশোনা করেন, তত্ত্বাবধান করেন। বিষয়টি তিনি দেখছেন, কাজেই এই বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের সফিপুর ও সাভারের মহাসড়কের বিভিন্ন উন্নয়নমূলককাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন এবং তালিকাটি আমাদের দলের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন এই তালিকা বিভিন্ন বিভাগে যারা আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ও ক্ষতিকর লোকজন যাতে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ে যাতে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম আছে।’

অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দল ছাড়া অন্য দল থেকে ক্লিন ইমেজের লোকদেরকে আমরা দলে স্বাগত জানিয়েছি। যারা ভাল মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা অন্য দল করে আসতে পারে কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে অনুপ্রবেশের ব্যাপারে আমরা দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করেছি। সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে যারা আসে এবং যারা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ভুমিদস্যু, জনগণের কাছে যাদের ইমেজ খারাপ, যাদের ভাবমূর্তি জনগণের কাছে খারাপ, এই ধরনের লোকজনকে অনুপ্রবেশকারী বলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য এবং এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক একটি প্রজেক্ট দিচ্ছে, আমরা এই ব্যাপারে এখন সর্বতোভাবে আটঘাট বেঁধেই নেমেছি। শৃঙ্খলাই এখন বড় সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা বাংলাদেশের কোথাও নেই। দেশে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে তবে শৃঙ্খলা না থাকলে উন্নয়নের কোনো দাম নেই। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় সাংবাদিকদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। শৃঙ্খলাবোধ ফিরিয়ে আনার জন্য সতর্কতার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।’