ভোলার সহিংসতা : জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা

SHARE

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাককের কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি কর্তৃপক্ষ।
কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মামুদুর রহমান জানান, গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও, তদন্ত শেষ না হওয়ায় আরও দুদিন সময় চেয়েছিল কমিটি। সে অনুযায়ী আজ সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক যুগান্তরকে জানান, জেলা প্রশাককের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে, যেখানে আসামি করা হয়েছে তিনজনকে।
সহিংসতার ওই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির প্রধান করা হয় স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মামুদুর রহমানকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) আতাহার মিয়া এবং সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক।
উল্লেখ্য, গত রোববার ফেসবুক মেসেঞ্জারে ধর্ম নিয়ে ‘কটূক্তির’ প্রতিবাদে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ শেষে সংঘর্ষ, গুলি, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটোয়ারীর মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।