ভাড়াটে খুনি ভাড়া করলেন আরেকজনকে, তিনি আরেকজনকে, তিনি আরেকজনকে, তিনি আরেকজনকে, তারপর জানলো পুলিশ

SHARE

প্রতিদ্বন্দ্বী এক ব্যক্তিকে খুন করাতে ২০ লাখ ইউয়ানে খুনি ভাড়া করেছিলেন চীনের এক ব্যবসায়ী। ভাড়াটে খুনি ওই ‘কন্ট্রাক্ট’ অর্ধেকে দিয়ে দেন অন্য এক খুনিকে; তিনি দেন আরেকজনকে; তৃতীয়জন দেন চতুর্থজনকে, চতুর্থজন পঞ্চমজনকে; তখনই ঘটল বিপত্তি।
পঞ্চমজনের চালাকিতে বিষয়টি গেল পুলিশের কানে। আর তাতে ব্যবসায়ীসহ সেই ৫ ভাড়াটে খুনিকে যেতে হল জেলে।

চীনের আদালত এই হত্যাচেষ্টা মামলায় ছয়জনকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক মেট্রো।

বেইজিং নিউজের খবরে বলা হয়, আবাসন ব্যবসায়ী ওয়েই মোউকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী তান ইয়োহুই। সেজন্য শি গুয়ানগান নামে এক ভাড়াটে খুনিকে ঠিক করেছিলেন তিনি।

কাজ শেষে ২০ লাখ ইউয়ান (২ কোটি ৪০ লাখ টাকা) দেওয়া হবে- এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি।

শি ওই কাজ নিজে না করে অর্ধেক দরে ছেড়ে দেন আরেক ভাড়াটে খুনি মো তিয়ানজিয়াংকের হাতে।

কিন্তু মো নিজেও কাজটি করলেন না। আগাম ২ লাখ ৭০ হাজার এবং কাজ শেষে ৫ লাখ ইউয়ান দেওয়ার শর্তে ওই খুনের দায়িত্ব তিনি দেন তৃতীয় ‘হিটম্যান’ ইয়াং কাংশেকে।

প্রতিশ্রুতির ‘বরখেলাপ’ করেন কাংশেকও; আরও কমে খুনের ‘কন্ট্রাক্ট’ তিনি দেন ইয়াং গুয়াংশেংয়ের হাতে, যার কাছ থেকে পরে কাজ যায় লিং জিয়াংসির কাছে।

কিন্তু বারবার ভাগাভাগিতে টাকার অংক তখন এতটাই কমে গেছে যে চতুর লিং অন্য পথ ধরেন। খুনের পরিকল্পনা তিনি জানিয়ে দেন, যাকে তার খুন করার কথা।

ওয়েইকে নিজের ‘ভুয়া মৃত্যুসংবাদ’ প্রচার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন লিং, যার সূত্র ধরে পুলিশ পরে পুরো ঘটনা উন্মোচনে সক্ষম হয়।

বেইজিং নিউজ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ওয়েই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তানের বিরুদ্ধে মামলা করলে দুজনের বিরোধের সূচনা হয়।

আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে পারেন- এ আশঙ্কায় ভাড়াটে খুনি ঠিক করেছিলেন তান। কিন্তু ঘটনা যে এতদূর গড়াবে, কে ভাবতে পেরেছিল!

তিন বছরের বিচার শেষে গুয়ানজির নানিংয়ের আদালত ওয়েইকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্যবসায়ী তান ও ৫ ভাড়াটে খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

রায়ে তানকে ৫ বছর এবং তার ঠিক করা ভাড়াটে খুনি শি গুয়ানগানের সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

তিয়ানজিয়াং ও কাংশেককে দেওয়া হয়েছে তিন বছর তিন মাস করে সাজা। আর গুয়াংশেং ও লিংকে যথাক্রমে তিন বছর এবং ২ বছর ৭ মাস জেলে কাটাতে হবে।