ইরানের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম তেল শোধনাগারের আগুন লেগেছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাদানে তেল শোধনাগারটি অবস্থিত।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, তেল শোধনাগারটির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই শোধনাগারে আগুন লাগার ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে, রবিবার আবাদান তেল শোধনাগারের গণযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, তেল শোধন প্রক্রিয়া শেষে বর্জ্য নিষ্কাশন চ্যানেলে আগুন লাগে। ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে’ তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আবাদান তেল শোধনাগারের গণমাধ্যম বিভাগ বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্জ্য নিষ্কাশনের ৫৫ নম্বর ইউনিটে ছিদ্র তৈরি হওয়ার কারণে আগুন লাগার ওই ঘটনা ঘটে।
আবাদান প্রদেশের গভর্নর জয়নুল আবেদিন মুসাভিও বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেছেন, বর্জ্য সরবরাহের কোনো একটি পাইপলাইনে দুর্ঘটনার কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, আবাদান শোধনাগারে প্রতিদিন চার লাখ ব্যারেল তেল শোধন করা হয় এবং রবিবারের আগুন লাগার ঘটনায় এই প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি। শোধনাগারের অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে অন্য ইউনিটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সক্ষম হন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০’ র দশক পর্যন্ত আবাদান ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার। ইরানে তেল শিল্প প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯১২ সালে এই শোধনাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে এই শোধনাগারে বেশ কয়েকটি নতুন ইউনিট স্থাপনের পাশাপাশি পুরনো ইউনিটের সংস্কার করা হয়।
সূত্র : পার্স টুডে