ইরানের সঙ্গে ফের চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

SHARE

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের তৎপরতা, দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি এবং ইরানে আটক মার্কিন বন্দিদের ভাগ্যসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে সম্ভাব্য চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুক এ কথা বলেছেন। ইরান যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতেই রাজি নয় তখন এই মার্কিন কর্মকর্তা তেহরানের সঙ্গে একটি ব্যাপকভিত্তিক চুক্তি স্বাক্ষরেরও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বুধবার মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে তিনি একথা জানান।

ব্রায়ান হুক বলেছেন, তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতিতে অটল থাকবে ওয়াশিংটন।

হুক ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, ইরানের ব্যাপারে আমেরিকার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত থাকবে।

সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে দেয়া বক্তব্যে এই মার্কিন কর্মকর্তা ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আরোপ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছিল তখনও তেহরান লেবাননের হিজবুল্লাহকে ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংকটগুলোতে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছিল।

মধ্যপ্রাচ্যের সব সংকটের মূল হোতা যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করল যখন এই ওয়াশিংটনই ২০১৮ সালের মে মাসে তেহরানের সঙ্গে করা আগের চুক্তি থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেরিয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী পরিচালনা করার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তেহরান ওয়াশিংটনের কাছে বিন্দুমাত্র নতি স্বীকার করেনি।

সূত্র : পার্সটুডে