নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

SHARE

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড হিসেবে পরিচিত নবম রোয়েদাদ (বেতন কাঠামো) নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। তথ্য ও শ্রম সচিব, নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

এর আগে নোয়াবের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ৬ আগস্ট এক আদেশে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে গেজেট প্রকাশের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। দুইমাসের জন্য এই আদেশ দেওয়া হয়। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি (দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক) মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে শ্রম আইন অনুযায়ী অংশীজনদের আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে নবম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত করা এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে সরকারের কাছে পাঠানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ কমিটির আহ্বায়ক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব ও নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গেজেট জারির ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। গত ১৪ আগস্ট চেম্বার বিচারপতির আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগে শুনানি শেষে গত ২০ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এরপর আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নোয়াব একটি আবেদন করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এক আদেশে এই আবেদনের ওপর আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এ অবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকার নবম রোয়েদাদ কার্যকর করে গেজেট প্রকাশ করে। ওইদিন থেকেই এই রোয়েদাদ কার্যকর দেখানো হয়েছে। এখন এই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোয়াব হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করে।