জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৫ এ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আলী নূর ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। এ বছরের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৯টি পদে জয়লাভ করেছে নীলদলের বিদ্রোহী প্যানেল। নির্বাচনে সাদা দল অংশগ্রহণ না করায় নীল দলেরই দুই পক্ষে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লক্ষ করা গেছে।
সভাপতি পদে নির্বাচিত ড. মো. আলী নূর পেয়েছেন ২২১ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মো. জাকারিয়া মিয়া ২০১ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ড. মো. আবুল হোসেন পেয়েছেন ২১৮ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জনাব জুনায়েদ আহমেদ হালিম পেয়েছেন ২০৩ ভোট।মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৫০৭ জন ভোটারের মধ্যে ৪২২ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. লীমা হক।
অন্যান্ন পদে নির্বাচিতরা হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ। সদস্য পদে মো. আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক শাওলী মাহবুব, এ বি এম আশরাফুজ্জামান, তাসলিমা আক্তার, অনির্বাণ সরকার, অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ, বিভাস কুমার সরকার ও অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
সদ্য নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলী নূর বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উন্নয়ন চলছে সেই উন্নয়নে অংশগ্রহণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে এশটি আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য আমরা কাজ করে যাব।”
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ হালিম বলেন, “আমি গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী, ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।”
এদিকে এবারের নির্বাচনে সাদা দল অংশগ্রহণ না করলেও সাদা দলের বিরাটসংখ্যক সদস্য ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সাদা দলের ভোট প্রদান সম্পর্কে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, “ভোটাধিকার সবার গণতান্ত্রিক অধিকার, আমরা সাংগঠনিকভাবে কোনো সদস্যকে ভোট দিতে কিংবা না দিতে বলিনি।”
নির্বাচনে কোন প্যানেলকে সমর্থন করেছেন কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “না, সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সবাই তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিয়েছেন।”