‘নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে’

SHARE

নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের ভাই আববার ফাইয়াজ তার ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়ে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে একথা বলেছেন। আবরার ফাইয়াজ বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার না করলে আমাকেও এখনই মেরে ফেলুন। যাতে বাবা-মা দুইবারে কষ্ট না পায়। একবারেই কষ্ট পায়।

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…

“আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারী দের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকার দের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২মিনিটে জানাযা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্র লীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? বিচার চাই,,আমি বিচার চাই,,,নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা মা কষ্ট একবারে পাবে।।।”

এর আগে আজ নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে পিটিয়েছে পুলিশ। ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে বুয়েট উপাচর্য সাইফুল ইসলাম ফাহাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসী। এসময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ভিসি ফাহাদের বাড়ি যেত পারেননি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসে। এতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ছাড়াও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বুয়েট উপাচার্যকে ‘এখন কেন আসছে এত দেরি করে’ নিহত ফাহাদের ভাই ফায়াজ এমন প্রশ্ন করার সময় পুলিশ তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।

আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ অভিযোগ করে বলে, আমার গায়ে হাত দিয়েছে। বুকে গুতা মেরেছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিজে আমাকে মেরেছে। আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরেছে এবার পুলিশ কি আমাকে মারবে?

এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

৬ অক্টোবর (রবিবার) রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।