সৌদিতে পর্যটকদের চুম্বন-মদ-শর্টসে নিষেধাজ্ঞা, না মানলেই জরিমানা

SHARE

পর্যটকদের ভিসা দেওয়া শুরু করলেও বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে সৌদি আরব। জনসম্মুখে অশ্লীলতার ব্যাপারে ১৯ ধরনের ‘অপরাধ’ চিহ্নিত করেছে সৌদি প্রশাসন। সেগুলো করলে কড়া জরিমানা করা হবে। সেই ‘অপরাধ’-এর তালিকায় রয়েছে চুমু খাওয়া, শর্টস পরা, মদ্যপানসহ আরো অনেক কিছু।

জানা গেছে, ৪৯টি দেশের পর্যটকদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিয়েছে সৌদি। এখন পর্যন্ত সেখানে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম তীর্থযাত্রী ও ব্যবসা ক্ষেত্রের মানুষ।

নতুন ভিসা নীতিতে অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়েছে, থুথু ফেলা, চুমু খাওয়া, গালিগালাজ করা, লাইন মেনে না-চলা, অনুমতি না-নিয়ে লোকজনের ছবি ও ভিডিও ধারণ, নামাজের সময় গানবাজানো।

জরিমানা করা হতে পারে এক হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পর্যটকরা যেন সৌদি আরবের নাগরিকদের আচরণ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে।

সৌদি আরবের পর্যটন বিভাগের প্রধান আহমেদ আল-খাতিবের কথায়, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সৌদির দরজা খুলে দেওয়া আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইউনেস্কোর পাঁচটা হেরিটেজ সাইট আমরা পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে রেখেছি।

সৌদির এই সিদ্ধান্তের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সম্প্রতি সৌদির দু’টি তেল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে হামলা তাদের তেলের জোগানে ধাক্কা দিয়েছে। এই হামলা নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথে বিশ্বজুড়ে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে।

সেই পরিস্থিতিতে তেলের রপ্তানি বাদেও সৌদির বিকল্প আয়ের উৎস খোঁজার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সৌদির বেকারত্বের হারও ঊর্ধ্বমুখী। এই আর্থিক সঙ্কটকে মাথায় রেখেই সৌদি যুবরাজের ‘ভিশন ২০৩০’।

কিন্তু পর্যটক টানতে হলে সৌদির পোশাকবিধি শিথিল করতে হবে। খাতিবের দাবি, বিদেশিনিদের বোরকা পরতে হবে না, তবে ভদ্র পোশাক পরা প্রয়োজন। সেই ‘ভদ্র’ পোশাকের ব্যাখ্যা খাতিব দেননি।