তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন করা ও পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারো বাড়ানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তা দাখিল না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করেন।
গত বছর ৩ এপ্রিল দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটির গা ঘেঁষে অতিক্রম করে। দুই বাসের চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর পথচারীরা রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। তাঁর ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাঁর মাথায়ও আঘাত লাগে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছর ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর এ সংক্রান্ত মামলাটি দুর্ঘটনাজনিত হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
ঘটনার দেড় বছর তিন মাস পার হলেও রাজীব নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। ঘটনার পর স্বজন পরিবহনের চালক খোরশেদ আলমকে ও বিআরটিসির গাড়িচালক ওয়াহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোসহ দুর্ঘটনা ঘটানো ও রাজীবের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে এরইমধ্যে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় চালকদের দ্রুত বিচার করা শুরু করা যাচ্ছে না।