পুলিশের ‘কমিউনিটি ব্যাংক’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

SHARE

পুলিশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউহুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিউনিটি ব্যাংক উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন এবং পুলিশের নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি পুলিশের জন্য বর্তমান সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধাগুলো তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে আমরা সত্যি আনন্দিত। আশা করছি, পুলিশের প্রতিটি সদস্য সচ্ছল হবে এবং বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের একটি ধারাবাহিক মাইলফলকের অংশ এ ব্যাংক। আমি আশা করছি, তারা সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হবে।’
২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকে ‘কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ’ দেওয়া হয়। ওই বছর নভেম্বরে ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯টিতে।
কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে হাতিরঝিলের পাশে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে। এ ছাড়া প্রিন্সিপাল শাখাসহ মোট ছয়টি শাখা দিয়ে প্রথমে এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে শাখা বাড়ানো হবে।
কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের বেতন দেওয়া হবে। আপাতত পুলিশ সদস্যরাই হবেন এ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার। এর লভ্যাংশ যাবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে।
ব্যাংক লাভজনক হলে ৩ বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাংকটির।