২০২৩ সালের মধ্যে সব প্রাথমিক স্কুলে একবেলা খাবার

SHARE

পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার দেওয়া হবে। খাবার হিসেবে বিস্কুট, রান্না করা খাবার বা ডিম, কলা খাওয়ানো হবে। এই ব্যবস্থা রেখে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫,৩৪৯ টি বিদ্যালয়ে এই খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাকিগুলোতে বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে প্রায় ৬৬ হাজার।

এই সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, খাবার দেওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এর মধ্যে রান্না করা খাবার দিলে ১১ শতাংশ উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। আর বিস্কুট দিলে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকারি পরিকল্পনা হলো, যে এলাকায় যে ধরনের খাবারের প্রয়োজন সে ধরনের খাবার দেওয়া হবে। প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে খাবারে বৈচিত্র্য থাকবে।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, এ ছাড়া আজকের বৈঠকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী কমপক্ষে ৭৫ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হলে প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি পাঁচজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত (বেতন-ভাতা বাবদ মাসিক সরকারি অনুদান) করা হবে।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে এ ধরনের যে প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো যদি এই নীতিমালা অনুযায়ী না হয় তাহলে সেগুলো চলতে পারবে না। এ ছাড়া আজকের সভায় চাঁদপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনি খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ ছাড়াও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া অনুমোদনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে মন্ত্রী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।