বিএনপির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “কত হেডম (হিম্মত) ৫ তারিখে দেখবো। ৫ তারিখে আমি নিজেই লুঙ্গি পরে (পিন্দাইয়া) রাস্তায় দাঁড়ামু। আমিও দেখতে চাই কার কতটা হেডম আছে, ইনশাআল্লাহ।”
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মায়া এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় আয়োজন করে শেখ রাসেল শিশু সংসদ।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে মায়া বলেন, “কী বলেন ভাইয়েরা, ৫ তারিখ কি রাস্তায় থাকবেন না? ৫ তারিখ কিন্তু অনেক দেরি। আজকে থেকেই রাস্তায় নেমে যান। যেখানে দেখবেন এই দুষ্কৃতিকারী, বোমাবাজরা বোমাবাজি করছে। সেখানেই ধইরা এমন মিষ্টি (উত্তম-মাধ্যম) খাওয়াইয়া দেবেন, জীবনে আর যাতে কোনোদিন মিষ্টি খাইতে না চায়।”
নগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “পাড়া-মহল্লায় সতর্ক থাকবেন। খোঁজ-খবর রাখবেন। কোনো দুষ্কৃতিকারী, ষড়যন্ত্রকারী যেন কোনো বাসাবাড়িতে লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।”
বিএনপি-জামায়াতের সব কর্মকাণ্ডের জবাব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মায়া বলেন, “খালেদা জিয়ার জোট গণতন্ত্রের শত্রু, ৫ জানুয়ারি এদেরকে রাজধানীতে ঢুকতে দেয়া হবে না। সেদিন আমরা দেখতে চাই কার পক্ষে কতটা শক্তি। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি না, স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তি। সেদিন গণতন্ত্র ধ্বংস হবে না, না গণতন্ত্র রক্ষা পাবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনি বারবার হরতাল দিয়ে, মায়াকান্না করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে করতে চেয়েছিলেন। ইনশাআল্লাহ শত চেষ্টা করেন, রক্ষা করতে পারবেন না। বিচার আমরা শেষ করবোই।”
মায়া বলেন, “আপনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন। এতিমের ঢাকা চুরি করে কোর্টে হাজিরা দিতে যান না। যত ভাবেই পালিয়ে থাকেন না কেন! আপনার পেছনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন আপনার পেছনে পেছনেই যাবে। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকেন, আপনি এবং আপনার সন্তান আইনের আওতায় এসে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। আইন থেকে কেউ রক্ষা পায় না, রক্ষা পাওয়ার সুযোগও নাই।’”
মায়া আরো বলেন, “স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতায় বসবেন। কিন্তু পায়ের তলায় যে মাটি নাই সেটা কি ভেবে দেখেছেন? আপনি লক্ষ করেন এখন বিদেশেও আপনার কোনে বন্ধু নাই। আপনার সঙ্গে আছে শুধু মিথ্যাবাদী-ষড়যন্ত্রকারী। আর যারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে নাই সেই সব বন্ধুরা। তাদের আমরা ভয় পাই না। আমাদের কোন প্রভু নাই, বন্ধু আছে।”
শেখ রাসেল শিশু সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সহীদুল ইসলাম মিলন, সহ-দফতর সম্পাদক জামাল উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।