আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, “সরকার চাইলেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার স্বার্থে আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে তা করা হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের ফাঁসির রায়ের পর তিনি সাংবাদিকের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
কায়সারের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, “আমরা পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট। বিচার সঠিকভাবেই চলছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলের বিষয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য হচ্ছে একাত্তরে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল তাদের বিচার করা।”
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, “সাধারণ মানুষের মতো আমারো প্রত্যাশা যে এ রায় দ্রুত কার্যকর হোক। আশা করি সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন।”
কায়সারের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাকাণ্ড বা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল এতদিন তাদের বিচার হয়েছে। এখন যারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছিল তাদের বিচার হচ্ছে। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, এবং এ সাজা তার প্রাপ্য ছিল।”