রাজশাহীতে কাস্টমস কর্মকর্তার বাসা থেকে ঘুষের টাকা ও ডলারসহ আটক ৭

SHARE

শিবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থল বন্দরের ফাঁকি দেয়া রাজস্ব রাজশাহীতে বসবাসকারী কাস্টসম কর্মকর্তার বাড়িতে অবৈধভাবে লেনদেনের সময় ৭ জনকে আটক করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ঘুষের ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৭ হাজার ডলার ও গুলিসহ একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন আবু সাইদ নয়ন, আহসানুল কবীর মিঠু, মনিরুল ইসলাম জুয়েল, বায়োজিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, আবুল হাসান রুবেল ও আব্দুল মালেক।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, উপশহর এলাকার ১৭১ নম্বর বাড়িতে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বসবাস করেন। ওই বাড়িতে প্রতিদিনই মদের আড্ডা ও স্থল বন্দরের ফাঁকি দেয়া রাজস্ব ভাগাভাগি হয়। বুধবার আটক মনিরুল ইসলাম জুয়েল নামের এক ব্যবসায়ীর মালবাহী দুটি ভারতীয় ট্রাক দেশে প্রবেশ করে। ওই দুটি ট্রাক থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব পাবার কথা। কিন্ত ফাঁকি দিয়ে মাত্র ২০ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে তড়িঘড়ি করে তারা মালামাল বাংলাদেশের ট্রাকে তুলে নেয়। এই ফাঁকি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা ভাগাভাগি হয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাঝে।

সূত্র জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তা আইয়ুব আলীর বাড়ীতেই প্রতিদিন বসে টাকা ভাগাভাগি ও মদের আসর। পরে তার মাধ্যমে কাস্টমস কমিশনার মজিবুর রহমান, সহকারি কমিশনার বেলাল হোসেনসহ কর্মকর্তাদের ভাগ তুলে পৌঁছে দেন রাজস্ব কর্মকর্তা আইয়ুব আলী। গোয়েন্দা পুলিশ ও বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আইয়ুব আলীর বাসা থেকে ওই সাতজন টাকা, ডলার ও অস্ত্রসহ তাদের আটক করে।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, অভিযানে জব্দ করা অস্ত্র, টাকা ও ডলার বোয়ালিয়া থানায় রাখা হয়েছে। আর আটককৃতদের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আটক সবাই বন্দরের আমদানিকারক। পুলিশ অভিযান টের পেয়ে তারা টাকাসহ বাড়ী থেকে বের হয়ে যাবার আগ মূহূর্তে আটক হয়। ওই সময় সেখানে মদ পান হচ্ছিলো। অস্ত্রটি আব্দুল মালেকের লাইসেন্স করা দাবি করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোনামসজিদ স্থল বন্দরে মাসে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। এই টাকা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এভাবেই ভাগাভাগি হয়ে যায়। ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার।