চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে দুই মাস ১৩ দিন অবস্থানের পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। হানিফ বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানাব।’
সিঙ্গাপুরে সড়কমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানরত তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা কালের কণ্ঠকে জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এর আগে ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। পরে ওই হাসপাতালের কাছে একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকা শুরু করেন। তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। গত ৩ মার্চ ভোরে ঢাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওবায়দুল কাদেরের। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয়। তখন তাঁর হূিপণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। পরদিন ভারত থেকে আসেন স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন দেবী শেঠি। তাঁর পরামর্শে ৪ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে ভুগছিলেন। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।