বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আজ রোববারও তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হার্টে চারটা স্টেন্ট পরানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে প্রথম আলোকে এসব কথা জানান সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।
বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন তিনি। আজ প্রথম আলোকে তিনি বললেন, ‘পরপর দুদিন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। সুবীরের অবস্থা আসলেই সংকটাপন্ন। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করে চলছেন।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৬ দিন চিকিৎসার পর সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। তাঁর জামাতা রাজেশ শিকদার জানান, সেদিন বিকেলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে বরেণ্য এই শিল্পীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়।
আগেই জানা গেছে, বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সামন্ত লাল সেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা শেষে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুবীর নন্দীর ব্যাপারে আলোচনা হয়। তিনি তাঁর চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন।
সুবীর নন্দী ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফিরতে ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তাঁরা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তাঁর পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। রাত ১১টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছেন।