এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

SHARE

ধেয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি। ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে এ ঝড় বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে। আঘাত হানতে পারে ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর (সাত নম্বর) বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর (ছয় নম্বর) বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে প্রবল বাতাস ও বজ্রঝড় আঘাত হানা শুরু করতে পারে এর আগেই।

আঘাত হানার আগ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে তা বলা সম্ভব নয়। এ কারণে বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি উত্তর দিকে অগ্রসর হতেই থাকে তাহলে কিছুটা দুর্বল হয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশের সীমানায় হানা দিতে পারে।

আসন্ন দুর্যোগ মোবাবেলায় বুধবার থেকেই বিপুল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বৃহস্পাতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।