বিজেপি’র ইশতেহারে রামমন্দির ও নাগরিকপঞ্জি!

SHARE

ভারতের লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার ইশতেহার প্রকাশ করছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ইশতেহারটি ৪৫ পাতার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সঙ্কল্প পত্র’। গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে কি কি উন্নয়ন করবে তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইশতেহারে। সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেয়ার পাশাপাশি হিন্দু ভোটারদের সমর্থন পেতে রাম মন্দির তৈরির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এ সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিজেপি আবারও সরকার গঠন করলে পার্লামেন্টে নাগরিকপঞ্জি পাশ করব এবং কার্যকরী করবই।

ভারতের নাগরিকপঞ্জি একটি বিতর্কিত বিষয়। এই ইস্যুটি নিয়ে আসাম রাজ্যে নানা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কেননা নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে না পারায় অনেককে অ-ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে কারণে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার রাজ্যে এই নাগরিক তালিকা বাস্তবায়িত হতে দেবেননা বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

তবে ভারতে নির্বাচন এলেই এই ইস্যুটি সামনে চলে আসে। এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ভারত থেকে ‘বাঙালি খেদাও’ জিকির তুলেছিলেন মোদি ও তার দল।

বিজেপির ইশতেহারে যেসব বিষয় প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো হলো:

**দেশের প্রত্যেক ঘরে শৌচালয়, বিদ্যুত এবং পরিস্রুত পানীয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

** সব গরিবকে রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে।

** শিক্ষাক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইনের আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে।

** সেচ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা হবে।

** ২০২২ সালে নতুন ভারত তৈরি করতে ৭৫টি পদক্ষেপ করা হয়েছে।

** বিধবা পেনশন, অনুদান-সহ যে কোনও সরকারি সাহয্য সরাসরি ব্যাঙ্কে অর্থ দেওয়া হবে।

** দেশের ছোটো ব্যবসায়ী বা দোকানদারকে ৬০ বছরের পর পেনশন দেওয়া হবে

** রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য আয়োগ তৈরি হবে, যা প্রথম।

** ৬০ বছর পর কৃষকদের পেনশন দেওয়া হবে।

** সম্মান নিধি প্রকল্পে ২ হেক্টর নয় সব কৃষককে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

** এক লক্ষ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ মিলছে তার সুদ শূন্য আনা হবে।

** সৌহার্দ্য বাতাবরণে তৈরি করা হবে রামমন্দির নির্মাণ

** অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আইন এনে রক্ষা করার চেষ্টা হবে।

** জঙ্গিবাদ উত্খাত করতে রেয়াত করা হবে না।

** স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নতুন ভারত তৈরি করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে গত ৫ বছরের।

** সোশ্যাল মিডিয়ার কাছ থেকেও মতামত নেওয়া হয়েছে।

** ৪ হাজারের বেশি জায়াগা থেকে নাগরিকের মতামত জানার চেষ্টা করা হয়েছে।

** জাতীয় নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

** ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ তৈরি করার সংকল্প নেওয়া হয়েছে।

** একশো তিরিশ কোটির মন কি বাত শোনা হয়েছে এই সংকল্প পত্রে

** বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা

ইস্তেহার প্রকাশের সময় অমিত শাহ যা বললেন…

** দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার কাজ করেছে মোদী সরকার।

** দ্রুততম অর্থনীতির দেশে হিসাবে বিশ্বের ৫ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে।

** মোদীর জন্য একশো কোটির দেশ সুরক্ষিত মনে করে। নিরাপত্তায় ভারতকে খাটো করে দেখার ক্ষমতা নেই।

** মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ হয়েছে মোদীর জমানায়।

** কোনও দুর্নীতি নেই এই সরকারের। উদাহরণ তৈরি করেছে মোদী সরকার।

** বিশ্বে শক্তিধর দেশ হিসাবে এগিয়ে চলেছে ভারত।

সূত্র: আনন্দবাজার