ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র পদত্যাগ দাবি

SHARE

ব্রেক্সিট সংক্রান্ত কোন সমাধানে না পৌঁছাতে পারায় এবার নিজের মন্ত্রীসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তেরেসা মে’কে পদত্যাগের দাবি জানানো হচ্ছে।

মন্ত্রীরা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, “তাকে (মে) মন্ত্রিসভার সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন ‘হয় গণপদত্যাগ নয়তো গণনিন্দার’ মুখে পড়তে যাচ্ছেন আপনি। ”

এদিকে ব্রেক্সিটপন্থী কয়েকজন মন্ত্রী তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি যদি পদত্যাগ করেন কিংবা পদত্যাগের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন তাহলে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিষয়ে তাকে সমর্থন দিবেন তারা।এরই মধ্যে মে’র স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে বিষয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এই আলোচনায় এগিয়ে আছেন মে’র ডেপুটি লিডিংটন ও ব্রেক্সিটপন্থী মাইকেল গোভ।

দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র বিরুদ্ধে একটি ‘পূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ ক্যু’ হতে যাচ্ছে। কেননা, সিনিয়র মন্ত্রীরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
নাম উল্লেখ না করে একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা ‘সানডে টাইমস’ জানিয়েছে, ’১০ দিনের মধ্যেই তাকে (তেরেসা মে) ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।

ডাউনিং স্ট্রিটের একটি শীর্ষ সূত্র মেইল অনলাইনকে জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর (মে) ভবিষ্যত নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। ’ সানডে টাইমস জানিয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত মে তার পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। স্বামীর প্রেরণায় এখনও তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ’

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পাশাপাশি ব্রেক্সিট নিয়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে রাজপথেও। আরও একবার গণভোটের দাবিতে লন্ডনে মিছিল করেছে লাখো মানুষ। ‘পুট ইট টু দ্য পিপল’ নামের একটি সমাবেশে দেশটির প্রায় ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংক্রান্ত আইন অনুচ্ছেদ ৫০ বাতিল এবং দ্বিতীয় গণভোটের দাবীতে অনলাইন আবেদনটি ৫ মিলিয়নের মাইল ফলক ছুঁয়েছে। যা অতীতের যে কোন পিটিশনের চেয়ে সর্বোচ্চ। প্রতি মিনিটে দুই হাজার মানুষ সেখানে সাক্ষর করছেন বলে জানা গেছে।