ট্রাম্পের উদ্বেগ বাড়িয়ে পুতিনের দিকে ঝুঁকছেন কিম!

SHARE

রাশিয়া সফরে যাবেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ভিয়েতনামের হ্যানয়তে কিম-ট্রাম্প বৈঠক সেই অর্থে সাফল্য পায়নি। তারপরই উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক পুতিনের দেশে যাবেন৷। দাবি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর কোরিয়ো মিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু কিম। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকাকে চাপে রাখতেই কিমের এই রাশিয়া যাত্রা।

গত বছর অক্টোবরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। উলটো তারা নানান দাবি জানাচ্ছে। এরপরই চলতি বছরে হয় হ্যানয় বৈঠক। যা ফলপ্রসূ নয় বলে দাবি করেন অমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণেই তাই মনে করা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক বার্তা দিতেই কিমের এই রাশিয়া সফর। তবে কবে এই বৈঠক হবে তা জানা যায়নি।

উত্তর কোরিয়া নিজের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করুক। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা করা হোক। দাবি করে আসছে ওয়াশিংটন। কিন্তু মার্কিন দাবি মেনে তা করতে নারাজ সিওল। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বাড়াতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের রাষ্ট্রটি। তাতেও আটকানো যায়নি তাদের। পরে ট্রাম্প আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি একটু হলেও বদলায়।

গতবছর জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠক হয় ট্রাম্প ও কিমের। পরে এবছর ফেব্রুয়ারিতে তা হয় ভিয়েতনামের রাজধানী শহর হ্যানয়তে। মনে করা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্র নায়কের বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে অগ্রগতির খবর আসবে। কিন্তু হল উলটো।
ট্রাম্প দাবি করেন,‘বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।’

উত্তর কোরিয়ার ‘ইয়াংবিয়ন পারমাণবিক’ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার বদলে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানান কিম। কিন্তু তাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত নয় বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কোনও পক্ষ মুখে কিছু না বললেও স্পষ্ট যে উভয় রাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা শিথীলতা এসেছে। এরপরই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ফলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

তবে এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন। ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর সম্প্রতি যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার চীন-ভিত্তিক জাহাজ কম্পানির ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ওই কম্পানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘোষণায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া।