ভারতের নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলতে পারে ‘গরুর রাজনীতি’

SHARE

ভারতে নারী ভোটারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এবারের নির্বাচনে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। সাধারণ নির্বাচনে এবারই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। অবশ্য গত নির্বাচনে ৬৫ দশমিক তিন শতাংশ ছিল নারী ভোটার।

২০১২ সাল থেকেই স্থানীয় নির্বাচনে নারী ভোটারের সংখ্যা বাড়ার তথ্য মিলেছে। সে কারণে নারীদের কথা বিবেচনা করেই দলগুলো তাদের অ্যাজেন্ডা ঠিক করছে। শিক্ষা ঋণ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার এবং মেয়েদের সাইকেল দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করছে।

এছাড়া ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনা বিশেষ করে হিন্দু জাতীয়তাবাদী চেতনা ভোটের ফল গড়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি বরাবরই সেই ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে সে দেশে একশ ৭০ মিলিয়ন মুসলমানের বসবাস। যারা বিজেপির শাসনে একেবারে কোণঠাসা হয়ে আছে। নিজেদের তারা অস্পৃশ্য সংখ্যালঘু হিসেবে বিচেনা করছে। বিজেপির কোনো মুসলিম সংসদ নেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সবাই হেরে গেছে।

চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে সাত ধাপে ভারতের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে দেশের নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের জন্য সাত ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট গণনা হবে ২৩ মে পর্যন্ত।

ভোট দেবে সে দেশের ৯ শত মিলিয়ন ভোটার। এবারের নির্বাচন হবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মোদির বিজেপি যেমন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে, অন্যদিকে বিরোধীদল কংগ্রেসের চেষ্টা থাকবে হারানো ক্ষমতা ফিরে পাবার।

সরকার গঠন করার জন্য কোনো দলের অন্তত দুইশ ৭২ আসনের দরকার। সে দেশে সর্বমোট আসন সংখ্যা পাঁচশ ৪৩। একশ ৩৩ বছরের পুরনো দল কংগ্রেস চেষ্টা করবে সরকার গঠনের।

যদিও ২০১৪ সালের নির্বাচনে মাত্র ৪৪টি আসন পায় দলটি। তার আগে পেয়েছিল দু’শ ছয় আসন। দলটি পপুলার ভোট পায় মাত্র ২০ শতাংশ।

যদিও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দলটি। অন্যদিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এবারে নির্বাচনেও সেটার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।