পাঁচ বছরে এক কোটি ২৯ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে

SHARE

আগামী ৫ বছরে নতুন করে এক কোটি ২৯ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে বলে সংসদে জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানান।

সরকাই দলের সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করে। এ রূপকল্পকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পণা (২০১০-২১) প্রণয়ন করা করা হয়। এই রূপকল্পের লক্ষ্যসমুহ হলো- বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং দারিদ্রের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মাথাপছিু আয় দুই হাজার ডলারে উন্নীত করা এবং বাণিজ্য অনুপাত (আমদানী ও রপ্তানী) জিডিপির ৬০ শতাংশে উন্নীত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, রাজস্ব আয় ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ৪৪ দশমিক ২ হাজার কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২৪১ দশমিক ৭৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে দেশের বাজেট ছিল ৬১ হাজার ৫৭ টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, যা ৭ গুণের অধিক।
তিনি আরো জানান, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের আমদানি এবং রপ্তানীর পরিমান ছিল যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৭ ও ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৮৭ ও ৩৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে। মুদ্রাস্ফীতি ১০ দশমিক ৯ থেকে কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে। তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে স্থাপিত গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যার ২০০৯ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৯১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০০৫ সালে দারিদ্রতার হার ছিল ৪০ শতাংশ , যা ২০১৭-১৮ সালে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে এসেছে।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, সপ্তম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পণার সামষ্ঠিক অর্থনৈতিক অভিক্ষেপ অনুযায়ী আগামী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদে (২০১৬-২০) কর্মসংস্থানের প্রাক্কলিত গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া ২০২০ সাল নাগাদ প্রক্ষেপিত দারিদ্র্য হার হবে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। যা দেশে বিদ্যমান বেকারত্বের হার কমিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয় বৈষম্য দুর করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।